news | logo

৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



সিজারের সাড়ে তিন মাস পর প্রসূতির পেট থেকে বের করা হলো গজ-ব্যান্ডেজ

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ১৬:০১

সিজারের সাড়ে তিন মাস পর প্রসূতির পেট থেকে বের করা হলো গজ-ব্যান্ডেজ

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ

ফরিদপুরে অস্ত্রপচারের (সিজার) তিন মাস ১৮দিন পর এক প্রসূতির পেট থেকে ফের অস্ত্রপচানর করে বের করা হলো গজ ব্যান্ডেজ। ওই গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার পেটে দ্বিতীয় অস্ত্রপচার করা হয়।
ওই গৃহবধুর নাম ফরিদা বেগম (২৬)। তিনি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী।
গৃহবধুর স্বজনেরা জানান, গত ২৫ মে ওই গৃহবধুর প্রসবজনিত অসুস্থাবস্থায় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার সাফা মক্কা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। ওইদিনই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস প্রসূতির অস্ত্রপচার করে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিনদিন পর ওই ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যান গৃহবধূ।

বাড়ী যাওয়ার পর ক্রমেই গৃহবধূর পেটের ভিতরে ব্যাথা অনুভব হতে থাকে। সম্প্রতি ওই ব্যাথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপী হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি কের নির্দেশনা অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
পরে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ফের অস্ত্রপচার করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের একটুকরো গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়। এ অস্ত্রপচার করেন চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস।

চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, রোগীর অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিল। সিজারের সময় রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করা হয়। ফলে সেই গজ পচে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে রোগী সুস্থ্য আছেন এবং তিনি শংকামুক্ত।

এ ব্যাপারে সিজার অপারেশন করা চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ওই রোগীর সিজার তিনি করেছিলেন কিনা তা তিনি স্মরণ করতে পারছেন না। কবে কোথায় সিজার অপারেশন করেছেন তা তিনি খাতা পত্র না দেখে কিছু বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

ফরিদার স্বামী মাসুদ শেখ জানান, পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজ রেখে তা সেলাই করার পর তাদের রোগীর অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে ফের অপারেশনের মাধ্যমে গজ ব্যান্ডেজ বের করা হয়। এতে করে তাদের বিপুল পরিমান টাকা খরচ হয়েছে। এ ঘটনার জন্য দায়ী চিকিৎসক এবং ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবী করেন তিনি।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com