news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর ঝিল ভরাটের কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত : জুলাই ২৪, ২০১৯, ১৩:৪৪

ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর ঝিল ভরাটের কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ
অবশেষে ফরিদপুরের ঝিলটুলীর ঝিল ভরাটে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের হাকিম মোহাম্মদ নাঈম ফিরোজ এ সংক্রান্ত আদেশ সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছানের পর গত সোমবার বিকেল থেকে ঝিল ভরাটের কাজ বন্ধরাখা হয়েছে ।

জানা গেছে, ঝিলটুলী ঝিলের দক্ষিণের অংশে ফরিদপুর মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে অনাথের আচারের দোকানের মোড় পর্যন্ত অন্তত ৫০০ মিটার অংশটি ঝিল হিসেবেই ছিল। গত জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ঝিলের আনাথের আচারের মোড় এলাকার অংশ ভরাট করার কাজ শুরু করে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে ফরিদপুর মৌজার আরএস ৯৪৯ নং দাগে অবস্থিত ঝিলের এই অংশটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল।

সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ঝিলের ওই অংশটির মালিকানা দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ বাদী হয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন রায়,আসিকুল হক সহ ১৫ জনকে বিবাদী করে ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে ২০১৭ সালে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন (মামলানং-১৬৫/২০১৭)। ওই মামলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে ও বিবাদী করা হয়।
ঝিলের মালিকানা দবি করে বিচারাধীন মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রীনিবাসের সিমানা প্রচির নির্মাণের জন্য গত ১ জুন থেকে ঝিলটি ভরাট করার কাজ শুরু করে ফরিদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

ওই মামলার অন্যতম বিবাদী আসিকুল হক বলেন, গত ১ জুন থেকে শত শত ট্রাক বালি এনে ঝিলটি ভরাট শুরু হলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে গত ১৪ জুলাই ঝিলটি ভরাটের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। ১৪ জুলাই আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দিলেও তার কপি বিবাদীরা হ।তে পান গত সোমবার বিকেলে।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল আলম বলেন, কালেজ কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করলে আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা চাই। আদালতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন বৈধ কাগজ আদালতে জমাদিতে পারেনি। আদালত শোকজ করেন, পরে আইনজীবী কমিশন ও নিয়োগ করেন। তার আলোকে গত ১৪ জুলাই আদালতনিষেধাজ্ঞা দেন। তারপরও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ পেতে আরও সাতদিন সময় বেশি লেগে যায়। তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ডে ওই বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করা হলেও সেটি রাতের অন্ধকারে সরিয়ে ফেলা হয়।

ফরিদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান শওকত বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশের কপি সোমবার হাতে পেয়েছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা জানার পরে কাজ বন্ধ রেখেছি।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com