news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



মিন্নির পক্ষে লড়তে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছেন আইনজীবীরা

প্রকাশিত : জুলাই ১৯, ২০১৯, ১৬:০১

মিন্নির পক্ষে লড়তে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছেন আইনজীবীরা

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এখন ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন। আগামী ২৩ জুলাই তাঁর রিমান্ড শেষ হলে বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে। ওই দিন মিন্নির পক্ষে ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদসহ ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন আইনজীবী ঢাকা থেকে বরগুনা আদালতে শুনানির জন্য যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ওই তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।

ফারুক বলেন, ‘দুপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। তখন মিন্নির বাবা আইনজীবী নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন। সে অনুরোধের পরে আমরা হাইকোর্ট ও জজকোর্ট মিলিয়ে ৪০ সদস্যের আইনজীবী টিম যাব।’

ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমরা আগামী ২৩ জুলাই বরগুনা আদালতে শুনানিতে যাব। আজ দুপুরে মিন্নির বাবার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে। তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা বলায়, তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে আমাদের যেতে অনুরোধ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অনেক আইননজীবী ও হিউম্যান রাইটস সংগঠনের সদস্য শুনানিতে যেতে ইচ্ছুক। আদালতে দুই পক্ষে আইনজীবী থাকলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যায়।’

এর আগে গত বুধবার (১৭.০৭.২০১৯) বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী মিন্নির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। রিফাতকে বাঁচাতে সে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল, যেটা দেশবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছে। তারপরও আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ, আসামিরা প্রভাবশালীদের আত্মীয়স্বজন। তাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রও রয়েছে। মূলত আসামিদের বাঁচানোর জন্য আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে।’

মিন্নির জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিতে না পারা প্রসঙ্গে বাবা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। সাক্ষী থেকে আসামি হওয়ার পরই আমি মিন্নির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করি। রাতেই পরিচিত তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তাঁরা তিনজনই মিন্নির পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা মিন্নির পক্ষে আইনি লড়াইয়ে থাকবেন না।’

মিন্নির বাবা বলেন, ‘বরগুনা আইনজীবী সমিতির একাধিক সদস্যের সঙ্গে বুধবার সকালেই যোগাযোগ করি। তাঁদের বলেছি, আমার মেয়ে নির্দোষ। ওর পক্ষে আপনারা একটু আইনি লড়াইয়ে নামেন। আপনাদের পারিশ্রমিক দেব। তাঁরাও আইনি সহায়তা দিতে অপারগতার বিষয়টি সাফ সাফ জানিয়ে দেন। আইনজীবীর আশা ছেড়ে দিয়েই আমি সকাল থেকে আদালত চত্বরে অবস্থান করি। বিকেল ৩টার পর মেয়েকে আদালতে নিয়ে আসা হলে আমি ওকে নিজের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপনের জন্য বলি।’

মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আরো বলেন, ‘বিচারকের উপস্থিতিতে আমার মেয়ের পক্ষে আইনজীবী গোলাম সরোয়ার নাসির, জিয়া উদ্দিন ও আবদুল কাদের বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিধি অনুযায়ী আইনজীবীরা ওকালতনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ায় বিচারক তাঁদের বক্তব্য শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’

মিন্নির পক্ষে বরগুনার কোনো আইনজীবী না দাঁড়ালেও ফেনীর সোনাগাজী থানার আলোচিত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ মিন্নির পক্ষে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দিতে ইচ্ছুক বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মিন্নির পরিবার চাইলে তাঁর পক্ষে ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট দাঁড়াতে চায়। ফারুক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস সব সময় নির্যাতিত, অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে ন্যায়বিচারের জন্য মামলা পরিচালনা করে থাকে।’

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন। ওই মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের প্রধান আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। এর আগে তিনি পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলার আসামি ঐশী, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা, হলি আর্টিজান হামলার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com