news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের খামারিদের অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত

প্রকাশিত : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:৫৩

ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের খামারিদের অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত

প্রত্যাশা ডেস্কঃ
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের খামারিরা। জেলার নয় উপজেলায় ছোট-বড় ৫ হাজারের অধিক খামারে পশুর পরিচর্যার কাজ চলছে এখন। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু না এলে খামারিরা লাভবান হওয়ার আশা করছেন। এদিকে পশু হৃষ্টপুষ্ট করায় কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে না বলে দাবি প্রাণিসম্পদ বিভাগের।

জেলার প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসাব মতে এবারের জেলার খামারিরা অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করেছে আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করবে এমন র্টাগেট তাদের।

সরেজমিনে জেলার মুন্সিডাঙ্গী, মুন্সি বাজার, বাইতুল আমান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি তাদের প্রিয় পশুর যতœ নিতে হচ্ছে খামারিদের। খাওয়ানো হচ্ছে কাঁচা ঘাষ, খড়, ভূষি, খৈলসহ নানা সামগ্রী। পশুগুলোকে রাখা হয়েছে শুকè জায়গায়। ঘর ভেতরে রয়েছে ফ্যান।

মুন্সিডাঙ্গী এলাকার খামারি মোস্তফা ব্যাপারী বলেন, অনেক কষ্ট করে সারা বছর পশুগুলোকে বড় করেছি, একটু লাভের আশায়। যদি ভারতীয় গরু না আসে তবে আলোর মুখ দেখবো।

খামারিরা তাদের পশুকে মোটাতাজা করনের জন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য খাওয়াছে না দাবি করে তারা বলেন, নিজেদের পূঁজি টিকিয়ে রাখতে অবৈধ পথে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ করা। এতে করে দেশীয় খামারীরা পশুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়।

শুধুমাত্র কোরবানিকে সামনে রেখে ফরিদপুরে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট অনেক পশুর খামার। তেমনি শহরতলীর ধলার মোড়েরর খিজির বিশ্বাসের ডাঙ্গীর দাউদ শেখ ২৩ মাস লালন-পালন করেছেন কালো মানিককে (নিজের বাড়ির গাভির বাচ্চা)। কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া নিজের বাড়ির খড়, ভুষি, লবণ ও ক্ষেতের কাঁচা ঘাস খাইয়ে বড় করেছেন কালো মালিককে। প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ কেজি খাবার দিতে হয় তাকে।
বিশাল আকৃতির কালো মানিককে দেখতে দাউদের বাড়িতে ভিড় করছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। বিশ মণ মাংসের হবে এই কালো মানিকের এমনটি দাবি পশুটির মালিকের।

জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এবারে জেলায় ৫ হাজার ১২০টি খামারি রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১২শ খামারি বেশি। এই খামারিরা ৩০ হাজারে অধিক দেশী জাতের গরু পালন করেছে, অন্যদিকে প্রায় ১৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া পালন করেছে কোরবানী ঈদের বাজারে তোলার জন্য।

কোরবানি উপলক্ষে জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে করেন প্রাণি সম্পদ বিভাগের জেলার কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ আহসান । পাশা-পাশি পশু খামার থেকে বিক্রয় পর্যন্ত সব কিছুর উপর নজর দারি রয়েছে তাদের।

তিনি বলেন, ‘খামারিদের আমরা নিয়মিত কারিগড়ি সহায়তা প্রদান করছি, তাদেরকে রাসায়নি মুক্ত ও হরমন মুক্ত খাবার খাওয়ার পরমর্শা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ফরিদপুরে পর্যাপ্ত নেপিয়ান ঘাষের আবাদ হয়েছে, খামারিদের বেশি বেশি ঘাষ খাওয়ানো কথা বলা হচ্ছে।’




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com