news | logo

৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



মন্দিরে মন্দিরে শুভ মহালয়া উদযাপিত দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৪:৩৬

মন্দিরে মন্দিরে শুভ মহালয়া উদযাপিত দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু

ভোরবেলায় ভক্তরা সব জড়ো হয়েছিলেন মন্দিরে মন্দিরে। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ছিল মঙ্গলঘট স্থাপন, চণ্ডীপূজা এবং ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান। ছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। আর এভাবেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হল দেবীপক্ষের। শনিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা। ৪ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা থেকে এবার শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা।

মহালয়ার সাত দিন পর আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যে আসবেন। দেবী বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। যার ফল শস্যবৃদ্ধি। অর্থাৎ এবার দুর্গা দেবীর আগমনে পৃথিবী শস্য ও ফসলে ভরে যাবে।

এ বছর দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। অবশ্য আগের দিন ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমন ধ্বনি অনুরণিত হতে শুরু করবে। ৫ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৬ অক্টোবর মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং ৭ অক্টোবর মহানবমী শেষে ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব। শনিবার রাজধানীর বনানী মাঠে ভোরে পূজামণ্ডপে সকালে মহালয়ার আয়োজন করা হয়। গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবার এ মণ্ডপে পূজা আয়োজনের একযুগ পূর্তির আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ভোরে আরাধনার মাধ্যমে দেবী দুর্গার আহ্বান ছাড়াও এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সব ধর্মের মানুষের রক্তে গড়া আমাদের লাল-সবুজের পতাকা এ দেশের অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক। মহালয়ার দিনে এ সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সব ধর্মের ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমরা গড়েছি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এখানে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কোনো স্থান নেই। মহালয়া উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হিন্দুধর্ম মতে আজ মর্ত্যে দুর্গা দেবীর আগমনের ক্ষণে সব অসুর, অশুভ অপশক্তি পরাজিত হোক, আমাদের সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। সবাই মিলে আমরা এগিয়ে যাই ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’ গড়ার পথে।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভোরে পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে মহালয়া উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। এরপরই সেখানে দেবী আরাধনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবীভক্তরা। ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য আমরা প্রস্তুত। আজ মহালয়ার মাধ্যমেই মূলত শুরু হয়ে গেল এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব। আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজও শেষের পথে। এখন ৪ তারিখের অপেক্ষা। সবকিছু সুন্দরভাবে হবে বলেই আমরা আশা করছি। এছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির এবং সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপসহ রাজধানী ও সারা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপেও চণ্ডীপাঠ, দেবীর আবাহনী সঙ্গীত, ধর্মীয় আলোচনা সভা, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও এলাকাভিত্তিক পূজা কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সারা দেশে ৩১ হাজার ১০০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে ২৩৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com