news | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং



‘ভোগ-বিলাস নয়, স্রষ্টার রহমতের ভাণ্ডার শবে বরাত’

প্রকাশিত : এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৪:১৭

‘ভোগ-বিলাস নয়, স্রষ্টার রহমতের ভাণ্ডার শবে বরাত’

মুসলিম উম্মাহর কাছে ‘ভাগ্য রজনী’ বলে পরিচিত এ রাতে তাই মুসলমানরা ফরজের পাশাপাশি নানারকম নফল ইবাদত করেন। প্রতিবছরের মত এবারও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের।

বিভিন্ন আয়োজন থাকছে বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে।

‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ আরবি শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতকে নির্দেশ করে। বিশুদ্ধ হাদিস থেকে উদ্ধৃতির আলোকে ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন-মহান আল্লাহ তাআলার

নৈকট্য লাভ ও দয়া প্রাপ্তির সুযোগের কারণে এর তাৎপর্য বেড়ে যায় মুসলিমদের কাছে।

অধ্যাপক ড মুহম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, ‘আল্লাহ, রসুল (সা.) কে বলেন, যখন তোমরা শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত পাবে। তখন তোমরা রাত জেগে বন্দেগী করবে দিনের বেলা রোজা রাখবে।’

বায়তুল মোকারম মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জীলানী বলেন, ‘আল্লাহতালা সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। “কে আছো আমার জন্যে রিজিক চাইবে আমি তোমার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবো।” আল্লাহতালা এই ভাবে বান্দাকে ডাকবেন ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত।’

ভোগ-বিলাস বা আনন্দ আয়োজন নয় এ রাতটি আসে স্রষ্টার রহমতের অবারিত ভাণ্ডার নিয়ে। তাই, সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি পবিত্র এ রাতের

মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান ইসলামী চিন্তাবিদরা।

অধ্যাপক ড মুহম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, ‘এই দিনে আমরা কোরআন তেলাওয়াত করতে পারি। জিকির করতে পারি। আমরা আল্লাহর কাছে তওবা করতে পারি, মুনাজাত করতে পারি। এইভাবেই আমাদের রাত্রি কাটাতে হবে। সম্ভব হলে পরদিন রোজা পালন করা উচিত।’

মুফতি এহসানুল হক জীলানী বলেন, ‘বাদ মাগরিব থেকেই ওয়াজ মাহফিল, জিকির আসগর, তারপর তাহাজ্জতের নামাজ, তারপরে ফজরের নামাজ এবং শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই রাত্রি বায়তুল মোকারমে এইভাবে উদযাপন করা হয়।’

নফল এবাদতের মাধ্যমে রাত অতিবাহিত ছাড়াও দিনে রোজা রাখেন অনেকে। তাই, রমজান মাসের প্রস্তুতির সুযোগের কারণেও পুরো শাবান মাসই মুসলিম উম্মাহর কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com