news | logo

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা মে, ২০২৪ ইং



বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সংকটে রোগিদের চরম দুর্ভোগএক্স-রে, আলট্রাসনো ও ইসিজি মেশিন নষ্ট

প্রকাশিত : জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৯:৪০

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সংকটে রোগিদের চরম দুর্ভোগএক্স-রে, আলট্রাসনো ও ইসিজি মেশিন নষ্ট

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে রোগিদের চরম দুর্ভোগ চলছে। চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া অবস্থাগত কারণে পাশের সালথা, নগরকান্দা আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি অংশের রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসক জনবল ও প্রয়োজনীও উপকরণসহ নানা সংকটে মধ্যে দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এতে করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি রোগীদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিদিন এখানে তিন শতাধিক রোগীদের বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হয়।

৫০ বেডের হাসপাতাল হলেও প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০জন রোগী ভর্তি থাকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে শিশু কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মেডিকেল অফিসার হিসেবে আছেন ডাক্তার সৌমিত্র সরকার। সৌমিত্র সরকার এফসিপিএস পাশ করার কারণে তিনি ঢাকায় বদলি হতে পারেন। অপর চিকিৎসক মো. রাজিব আহমেদ, সৈয়দ আহমেদ গত ১ মাস ধরে ছুটিতে রয়েছেন। ডাক্তার মাতোয়ারা শারমীন গত দেড় বছর ধরে ঢাকায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে থাকেন। চিকিৎসক সংকটের কারণে জরুরী বিভাগ ও বহির্বিভাগে উপ- সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম ও ডা. নুরজাহান বেগমকে অতিরিক্ত সেবা দিতে হচ্ছে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি অধিকাংশ সময় রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য জনবলের মধ্যে সুইপার পোস্ট ৫জন থাকলেও আছে একজন, ওয়ার্ডবয় গত এক বছর ধরে শূন্য। এ কারণে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ নিজেদের অর্থ দিয়ে এ সব কাজ করে আসছে। এক্সে-রে মেশিনের নির্দিষ্ট কোন কক্ষ না থাকায় পুরন পরিত্যাক্ত ভবনের একটি কক্ষে গত ১০-১২ বছর ধরে পড়ে থাকায় সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে। আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি মেশিনেরও একই অবস্থা। এ কারণে রোগিদের বাইরের ক্লিনিকগুলোতে দ্বিগুন খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বর্তমানে যারা আছেন তাদের ওপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে। এখানে জুনিয়র কার্ডিওলজিষ্ট হিসেবে ডাক্তার রকিবুল কবিরের পোস্টিং থাকলেও গত দেড় বছর ধরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। ডাক্তার মনোয়ারা শারমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেড় বছর ধরে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে নিয়মিতি ভাবে চিঠি দিয়ে লোকবলের সংকটের কথা জানিয়ে যাচ্ছি। কখনও কোন ডাক্তারের এখানে পোস্টিং হলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন কোর্স, ডেপুটেশন ও প্রশিক্ষণের জন্য চলে যায়।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com