অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম :
🌎 দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চুড়ান্ত ফলাফল প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বার কাউন্সিল এর আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা। ২০১৭ সালের জুন মাসে চালু হওয়া পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। পূরণ হয়েছে বহুজনের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। স্বপ্ন পূরণ হওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন হতে পেরে ভাল লেগেছে। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া! এই লেখাটি মূলত ভবিষ্যত পরীক্ষার্থীদের সাথে বার কাউন্সিল পরীক্ষা কেন্দ্রিক আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশবিশেষ। লেখাটি কিছুটা দীর্ঘাকার। লেখাটি আপনাকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার ধরন ও প্রস্ততি গ্রহনের কলাকৌশল সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা প্রদানে সক্ষম হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
🌍বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার পূর্বে বার কাউন্সিল পরীক্ষার ধরণ বা পদ্ধাতিটা ভালভাবে বুঝে নেয়া একান্ত আবশ্যক। বার কাউন্সিল পরীক্ষা মোটেই অত্যাধিক কঠিন কোন পরীক্ষা নয় বলেই আমার ধারণা। অনেককেই দেখছি যে, অজ্ঞতাবশত এই পরীক্ষাকে বিসিএস বা বিজেএস পরীক্ষার সাথে তুলনা করছেন যা মোটেই যৌক্তিক নয়। তবে প্রতি বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৮০% পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হন এটাও বাস্তব। এর বহুমুখী কারনও আছে। পুরো লেখাটি পড়লে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারনাও মিলবে বলে আশা করি।
🌍 বিসিএস এবং বিজেস একধরনের তীব্র প্রতিযোগিতামমূলক এক্সাম। অর্থাৎ সেখানে আসন সংখ্যা নির্ধারিত থাকে যে কতটা খালী পদের বিপরীতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, শুধুমাত্র সেইকজনই সুপারিশকৃত হন। পক্ষান্তরে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কোন নির্ধারিত আসন থাকে না। নির্ধারিত নম্বর পাওয়া সাপেক্ষে প্রতিটা পরীক্ষার্থী টিকে যেতে পারেন।
🌍 এছাড়াও বার কাউন্সিল পরীক্ষার সিলেবাস বিসিএস, বিজেএস পরীক্ষার তুলনায় খুবই সীমিত। বার কাউন্সিল এক্সাম শুধুমাত্র আইন বিষয়কে কেন্দ্র করে হয় অন্যদিকে বিসিএস, বিজেএস এক্সাম বিশাল ব্যাপ্তির বাংলা, অংক, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও আইন এর সিলেবাস নিয়ে হয়ে থাকে। সুতারাঙ বার কাউন্সিল পরীক্ষা মোটেই বিসিএস, বিজেএস সমপর্যায়ের পরীক্ষা নয়। তাই বার কাউন্সিল পরীক্ষাকে খুব কঠিন, উচ্চ মানের পরীক্ষা ভেবে ঘাবড়ে যাওয়া বা হতাশ হওয়া নিতান্ত বোকামি। বরং মানিসিকভাবে এটিকে একটি সহজ পরীক্ষা ভেবে নিয়ে প্রস্ততি নিলেই সফলতার সম্ভাবনা বেশী। অনেক নতুন পরীক্ষার্থী মানসিকভাবে নিজেদের তৈরি করতে না পারার কারনেই বরং অকৃতকার্য হন। তাই মানসিকভাবে স্থির থেকে বার কাউন্সিল এক্সামকে একটি গতানুগতিক এক্সাম ধরে নিয়ে ঠিক এখন থেকে গড়পড়তায় নিয়মিত পড়লে আপনি সফল হবেন, ইনশাআল্লাহ। এতকিছু লেখার মূল কারন একটাই, বার কাউন্সিল পরীক্ষা নিয়ে অযাচিত হা-হুতাশ করা বা বিচলিত হওয়ার কারন নাই সেটা বোঝানো। কিন্তু তবুও প্রতি পরীক্ষায় প্রায় আশি শতাংশ পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হন। এর মূল কারন ভীতি, হতাশা, পরীক্ষার ধরন ও পদ্ধতিকে না বোঝা ও নুন্যতম পড়ালেখা না করা বা অনেক বেশী পড়ালেখা করলেও তা আসলে না বুঝে মুখাস্ত করা, ইত্যাদি।
🌍পূর্বে বার কাউন্সিল পরীক্ষা বছরে দুবার নেয়া হত। এর পরবর্তী সময়ে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা নেয়া হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন এক অজানা কারনে বার কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেয়া ও ফলাফল প্রকাশে অপরাগ হয়ে পরেছে। তাই বার কাউন্সিলের আসছে পরীক্ষা কখন হবে তা বার কাউন্সিলের কর্তাদের ইচ্ছা নির্ভর বিষয়। সুতারাঙ পরীক্ষা কখন হবে এ চিন্তা সিকায় তুলুন। আপনি বরং পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করেন তাই মঙ্গল।
🌍এবার আসি আসল কথায়। প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন। এখানে প্রিলি বা এমসিকিউ পর্বের প্রস্ততির ব্যাপারে আমার মতামত দিচ্ছি। আবারও জানিয়ে নিচ্ছি যে, লেখাটি খুব বড় আকারের হওয়ায় আপনাকে কিছুটা ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে।
প্রিলি বা এমসিকিউ পাশ করতে নির্ধারিত সাতটি আইনের সিলেবাসের ব্যাপারে এ টু জেড ধারনা রাখা উচিত। পরীক্ষা শুরু হতে যেহেতু পর্যাপ্ত সময় বাকী সেহেতু ধীরেসুস্থে অগ্রসর হওয়াই উত্তম।
মূল বই পড়ব নাকি গাইড বই পড়ব?
কোচিং করা আবশ্যক কিনা?
উপরোক্ত প্রশ্ন দুটিই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জিজ্ঞাসা।
আপনি যদি মূল বই পড়তে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে উত্তম। মূল বই পড়া নিশ্চই আপনার আইনগত জ্ঞানের ভিত্তি অনেক মজবুত বা পোক্ত করবে। মূল বই পড়তে হলে সিলেবাস এর ব্যাপারে ধারনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো পড়তে হবে ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ মার্ক করে রাখবেন। মূল বই এর পাশাপাশি মানসম্মত গাইড বই টাচে রাখতে হবে। মূল বই পড়ে তো সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে ধারনা নিলেন কিন্তু মূল বই এর আইনের ব্যাখ্যা বা সারমর্ম ও প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে আইডিয়া নিতে গাইড বইও পড়বেন। অর্থাৎ মূল বই ও গাইড বই এর কম্বিনেশনে নিজেকে প্রিপেয়ার করাটা হচ্ছে ভাল ছাত্রের, ভাল মানের, ভাল প্রস্ততি নেয়ার উপায়।
মূল বই পড়ে কিছুই বুঝলেন না!
হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
মূল বই না ছুয়েও প্রস্তুতি নেয়া যায়। অনেকেই আমার এই বক্তব্যের সাথে দ্বীমত করবে হয়ত। মতের বিপরীতে দ্বিমত থাকতেই পারে।
যদি মূল বই পড়ে পাঠোদ্ধার করা আপনার জন্য কঠিন ব্যাপার হয়ে থাকে তবে বাজারে অধিক প্রচিলিত, মানসম্পন্ন ও তুলনামূলক নির্ভুল যেকোন একটা গাইডবুক সংগ্রহ করুন। এমন বই নিবেন যেটাতে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রচুর ব্যাখা বা বর্ননামূলক লেখা আছে এবং শেষে এমসিকিউ স্যাম্পল দেয়া আছে। প্রথমে যেকোন একটি বিষয় বেছে নিয়ে পড়া আরাম্ভ করুন। ধীরেসুস্থে আইনের ব্যাখ্যা বা বর্ননামূলক লেখা বুঝে পড়া শুরু করুন এবং বর্ননামূলক পড়া শেষে স্যাম্পল এমসিকিউতে চোখ বুলান।
🌍 কখোনোই গাইড বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের আইনের ব্যাখ্যা বা বর্ননা না পড়ে এমসিকিউ মুখাস্ত করার চেষ্টা করবেন না তা পণ্ডশ্রম বৈ কিছুই না। গাইড বইতে উল্লেখিত প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি ধারার বর্ননা/ব্যাখ্যা নিখুঁতভাবে জেনে-বুঝে পড়বেন। তারপরেই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এমসিকিউ সলভ করবেন। আবারও বলছি , গাইড বইতে উল্লেখ থাকা মূল আইনের ব্যাখ্যা/বিশ্লেষণ বা সারমর্ম ভালভাবে না পড়ে বা না বুঝে এমসিকিউ মুখাস্ত করবেন না। যদি আপনি গাইডবুকে লেখা আইনের ব্যাখ্যা বা বর্ননা পড়ে নিজেই বিষয়টা বুঝতে পারেন তবে এভাবে পড়া চালিয়ে যেতে পারেন। একটি বিষয় পড়া শেষ হলেই আরেকটা বিষয় পড়া শুরু করবেন।
অর্থাৎ শুরুতে গাইড বইতে মূল আইনের বর্ননা / ব্যাখ্যা/ সারমর্ম আত্মস্থ বা হৃদয়ে ধারন করার চেষ্টা করবেন এবং এর পরেই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের এমসিকিউ দেখবেন। অর্থাৎ এমসিকিউ মুখাস্ত করা নয়, মূল আইনের সারমর্ম বুঝে এমসিকিউ সলভ করার চেষ্টা করবেন।
🌍 এমনি করে পুরো বইটি ভালভাবে পর্যাপ্তসংখ্যকবার পড়া শেষে বাজার থেকে একটি মডেল টেস্ট বুক সংগ্রহ করবেন যেটাতে বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রশ্নের অনেকগুলো স্যাম্পল দেয়া থাকবে এবং উত্তরপত্র আলাদা দেয়া থাকবে। এই প্রশ্ন মডেল থেকে নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করবেন এবং উত্তরপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখবে যে আপিনি কতটা অগ্রসর হতে পেরেছেন। অর্থাৎ প্রতিটি মডেল টেস্ট সলভ করাকে আপনি রিয়েল এক্সাম হিসেবে বিবেচনা করবেন এবং নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে সলভ করে উত্তরপত্রের সাথে মিলিয়ে নেবেন যে আপনার কতটা সঠিক হয়েছে। এভাবে আপনি আপনার নিজের অগ্রগতি/অবনতি বুঝতে পারবেন। ইতিবাচক ফল পেলে এভাবে চালিয়ে যাবেন।
🌍 উপরোক্ত প্রকারে চেষ্টা করার পরে যদি আপনি মনে করেন যে আপনি নিজে-নিজে পড়ে তেমন কিছু বুঝতে পারছেননা বা আপনার অগ্রগতি হচ্ছে না অথবা আপনি আত্মবিশ্বাস এর ঘাটতি অনুভব করছেন। তাহলেই আপনার উচিত হবে ভাল, মানসম্পন্ন, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত কোন কোচিং এর শরণাপন্ন হওয়া। হতে পারে সেটা অনলাইন কোচিংও।
এমনও হতে পারে যে, কোচিং না করলে মনে হতে পারে যে, যারা কোচিং করে আপনি বোধহয় তাদের থেকে পিছিয়ে আছেন বা আপনার প্রস্ততি অপূর্ন আছে। এমন ব্যাপার আপনার আত্মবিশ্বাস কে ডাউন করতে পারে। কোচিং না করে নিজেই প্রস্ততি নিয়ে অনেকে জজও হয়েছেন সে নজিরও বহু আছে। এটা পুরোটাই শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, ভালভাবে বুঝে-শুনে গুছিয়ে পড়ার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে যে আপনার জন্য কোচিং এর দারস্থ হওয়া আবশ্যক কিনা।
🌏 একটা বিষয় খুবই লক্ষনীয় যে, আজকাল অনেকেই মানহীন কোচিং খুলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে কোচিং এর নামে ফায়দা তোলে। এমনকি মেয়েদের নাম ও ছবি দিয়ে ফেইক আইডি খুলেও কোচিং এর প্রচার চালায়। এসবে বিভ্রান্ত হবেন না। আবার অনেকেই অনলাইনে হ্যান্ডনোট, লেকচার শিট ইত্যাদি কেনার অফার দেয়, যার বেশিরভাগই মানসম্মত নয়।
তবে কেউ-কেউ মানসম্মত উপকরনও সরবরাহ করেন বটে। তাই কোচিং, হ্যান্ডনোট বা লেকচার শিট ইত্যাদি সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনাকে অসংখ্য ভেজালের ভিড়ে আসলটাকে বেছে নিতে হবে।
অর্থাৎ জেনে-বুঝে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে মানসম্মত কোচিং সিলেক্ট করতে হবে। পুরো লেখাটিতে আপনাকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার ধরন ও প্রস্ততি গ্রহনের ব্যাপারে একটি সহায়ক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র আমার অভিজ্ঞতার আলোকে।
🌍 এই পোস্টের মূল লক্ষ্য ছিল বার কাউন্সিল পরীক্ষার ধরন বা স্ট্যান্ডার্ড বুঝানো যাতেকরে শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা নিয়ে অযাচিত ঘাবড়ে না যান। এছাড়াও প্রস্ততির গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। পুরো লেখাটা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। এর সাথে যে কারো সহমত বা ভিন্নমত থাকা খুবই সহজ,সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়। ধন্যবাদ সকল পাঠককে।
লেখক : আইনজীবী, ঢাকা জজ কোর্ট
সংগ্রহ:বিডি আইনকাকুন.কম
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত
-
শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা...
-
নববর্ষের দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে...
-
চীনে আবারও করোনার থা’বা, নতুন করে আক্রা’ন্ত শতাধিক
: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘা’তী করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক...
-
মারা গেলে বিয়ের পোশাক পরিয়ে দিতে বললেন মিয়া খলিফা
: করোভাইরাসের সং’ক্রমণে টা’লমাটা’ল বিশ্ব। এর মধ্যে নিজের বিয়ের পোশাক নিয়ে...
-
দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
: মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে আরও ২০৯...
-
ঘাতক আব্দুল মাজেদ সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেলো
: বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদ ভারতের কলকাতায় দীর্ঘ...
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত