news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



ফরিদপুর বিএনপি: সম্মেলনের অপেক্ষা প্রায় একযুগ, ১৫১ সদস্যদের ২৫জন আ.লীগে

প্রকাশিত : জুলাই ২৯, ২০১৯, ২২:২৩

ফরিদপুর বিএনপি: সম্মেলনের অপেক্ষা প্রায় একযুগ, ১৫১ সদস্যদের ২৫জন আ.লীগে

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ

ফরিদপুরে জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫১জন। এর মধ্যে ২৫ জন নেতা যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। এর বাইরে আরও অনেকে রয়েছেন যারা দলের পদপদবীতে থেকেও কোন কর্মকান্ডে নেই। মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীও তেমন একটা পালন করে ফরিদপুর বিএনপি। পুরাতন কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় নতুন কমিটি না করা পর্যন্ত এ অবস্থার নিরসন সম্ভব নয় বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এমএ সালাম ও আজিজার রহমান মোল্লা, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এমএম শাহরিয়ার, ইলিয়াস আহমেদ পাল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, অর্থ সম্পাদক নাফিজুল হাসান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক দুই সভাপতি সাদেকুজ্জামান পাল ও রউফ উননবীসহ অন্তত ২৫জন আ.লীগে যোগ দিয়েছেন।
এদের মধ্যে অনেকেই আ.লীগের পদও পেয়ে গেছেন। জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত ওলিয়ার রহমানও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ছিলেন।

অপরদিকে জেরা বিএনপির উপদেষ্টা সরোয়ারজান মিয়া, শহর বিএনপির সভাপতি খন্দকার চাঁন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুল কুদ্দুস, স্থানীয় সরকার সম্পাদক সাইদুর রহমান, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমানসহ মারা গেছেন অন্তত ১২জন।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। তবে শীর্ষ দুই পদ নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের তীব্র মতদ্বৈততার কারণে হাতাহাতির মধ্য দিয়ে সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়।

এরপর ঢাকা থেকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যথাক্রমে জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, মোদাররেস আলী ঈসা ও রশিদুল ইসলাম লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পরে গঠন করা হয় ১০জন উপদেষ্টাসহ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে দুই বার সভাপতি মনোনীত হয়ে জহিরুল হক ওরফে শাহজাদা মিয়া ২০ বছর ধরে এবং তিনবারের সাধারণ সম্পাদক মোদাররেছ আলী ওরফে ইসা ৩১ বছর ধরে যাবত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছর যাবত কমিটি গঠন হলেও অদ্যাবধি জেলা কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরমধ্যে একবার সম্পাদকমন্ডলীর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও যেখানে দ্বিধা বিভক্ত বিএনপির একপক্ষের নেতৃবৃন্দই উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রেক্ষাপটে দ্রুত দলের সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি সামনে রেখে দলে নতুন নেতৃত্ব চাইছেন তৃণমূলের একটি বড় অংশ।
যুবদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক গণ শিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক নেতা মাহবুবুল হাসান বলেন, জেলা বিএনপির পদধারীদের ব্যর্থতার কারণে অনেকে ক্ষমতাসীনদের সাথে যোগ দিয়েছে। যদি সম্মেলনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব আসে তবে দলকে আবারো পুনঃগঠন করা অসম্ভব নয়।

জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, যারা সুবিধার রাজনীতি করেন তারা দল থেকে ছেড়ে গেছেন। এতে বিএনপির কোন ক্ষতি হবে না। যারা দলকে ভালবাসেন তারা জেল-জুলুম ও হামলা-মামলা উপেক্ষা করে এখনও দলে রয়ে গেছেন। দলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জেলা বিএনপির কমিটি বর্তমানে ‘কোমায়’ (মৃত্যু শয্যা) আছে। আমি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ জানাই ব্যক্তিগত ভাবে তদারকি করে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে জেলা বিএনপির মৃত্যু রোধ করা যাবে না।

এব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া সংবাদিকদের বলেন, দলকে অবশ্যই পুনগর্ঠন করা প্রয়োজন। পুনগর্ঠনের প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছিল। কিন্তু দলের চেয়ারপার্সন জেলে যাওয়ায় সে কর্মকর্তান্ড স্থগিত হয়ে যায়। দলের প্রধান সারির অনেক নেতা মামলা ও হামলার মুখে রয়েছেন। তাই এ ব্যাপারে আপাতত পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com