news | logo

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মে, ২০২৪ ইং



ফরিদপুরের পাটের ‘দরপতনে’ হতাশ চাষিরা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯, ১২:১০

ফরিদপুরের পাটের ‘দরপতনে’ হতাশ চাষিরা

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ

ফরিদপুরে পাটের দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা; কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না তারা।

এর কারণ হিসেবে চাষিদের সঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও ‘পাটের রং ভালো না হওয়ায়’ উৎপাদিত পাটের দরপতন হয়েছে বলে মনে করছে।

সোনালি আশের ঐতিহ্য হিসেবে খ্যাত ফরিদপুর জেলার কানাইপুর, তালমা, কাদিরদী, সাতৈরে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাট মণপ্রতি ১৫শ টাকা থেকে ১৯৫০শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কোরবানি ঈদের আগেও মণপ্রতি পাট ২২শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল স্থানীয় বলে চাষিরা জানান।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের পাট চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, এক মণ পাট উৎপাদনে তাদের খরচ হয়েছে ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। এছাড়া পাট উৎপাদন মৌসুমে ডিজেল ও শ্রমিকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। এখন মণ প্রতি ২২শ থেকে ২৫শ টাকা হারে দর পেলে তাদের লাভ হতো।

পাটের দরপতনের কারণ জানতে চাইলে আতিয়ার বলেন, “পাট পঁচাতে চাষিদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে পানি অভাবে। এই কারণেই পাটের রং ভাল থাকছে না।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, এ বছর জেলায় মোট পাটের আবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে। এ বিপরীতে পাটের উৎপাদন ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮১হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, পাটের উৎপাদন ভালো হলেও পানির অভাবে জেলার অনেক এলাকার চাষিরা পাট পঁচাতে পারেনি ভাল করে। যে কারণে পাটের রং ভাল হয়নি। এতে চাষিদের উৎপাদিত পাটের দর কম পাচ্ছে।

ফরিদপুর জেলায় ভারতীয় (তোসা জিআর) ও দেশী (মাস্তে) জাতের পাটের আবাদ হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই তোসা জাতের বলে জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

ফরিদপুরের এম এইচ গোল্ডেন জুট মিলস লিমিটেডের পরিচালক মোহাসিন হোসাইন জানান, মৌসুম শুরুতে আমরা ২২শ বা তার বেশি দরে পাট কিনেছি। কিন্তু বর্তমানে বাজারে যে মানের পাট আসছে তাতে সর্বোচ্চ ১৯৫০ টাকার বেশি দেওয়া যাচ্ছে না।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com