যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গত ক’দিনে ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে পদ্মার পানি বিপদ সীমান তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয় প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এরই মধ্যে ওই তিন উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাসকলাই ১৮১ হেক্টর, বোনা আমন ৭৫ হেক্টর, রোপা আমন ৪৫ হেক্টর এবং ৪৭ হেক্টর জমির সবজী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।
‘পদ্মা নদীর পানি হঠাৎ করে বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের পানি প্রবেশ করে এতে মধুমতি নদীর আলফাডাঙ্গা, বোয়ালামারী, পদ্মা নদীর চরভদ্রাসনের এমপি ডাঙ্গী এবং আড়িয়াখা নদের চরমানাই এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, নদীতে প্রবল স্রােত থাকায় ভাঙন রোধ করা কঠিত হয়ে পড়ছে। তবে মধুমতি নদীর আলফাডাঙ্গার পাচুরিয়া, গোপালপুর ইউনিয়নের চারটি স্থানে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান বলেন, দ্বিতীয় দফায় মধুমতির পানি বৃদ্ধির ফলে এ উপজেলা তিনটি ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত মানুষগুলো অসহায়ের মতো বসতবাড়ী সরিয়ে নিচ্ছে। তিনি এই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষে দৃষ্টি কামনা করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরের নিন্মাঞ্চলের সবজি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে শীতকালিন গুটি পেঁয়াজের ক্ষেত।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বন্দি ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের জন্য গত ৩ অক্টোবর ১৫৫ টন চাল, শুকনো খাবার ও এক লক্ষ বিশ হাজার নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন মতো সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান তা বিতরণ করবেন।
তিনি জানান, ভাঙন এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।