news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



নিজের পাতানো আইনেই চলেন সালথার নিকাহ রেজিষ্টার কাজী কামরুল

প্রকাশিত : জুলাই ১৩, ২০১৯, ১৩:৪০

নিজের পাতানো আইনেই চলেন সালথার নিকাহ রেজিষ্টার কাজী কামরুল

এফ.এম.আজিজুর.রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনয়নের নিকাহ রেজিষ্টার কাজী কামরুল হোসেন তার নিজের পাতানো আইনেই তিনি চলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা নাকরেই চলে তার নিকাহ রেজিষ্টারের কাজ। এমনি এক ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের মৃত্যু সেকেন মাতুব্বরের পুত্র মোঃরাকিবুল ইসলামের সাথে ২০১৩ সালের অক্টোম্বর মাসে একই উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের সহিদ শেখের মেয়ে মোছাঃ সাথী বেগমের বিবাহ হয়।
বিয়ের সময় উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে ২ লক্ষটাকা দেনমোহর ধায্য করা হয়েছিল।পরে কয়েক বছর পর গত ২০১৮ সালে ২৩ ডিসেম্বর রাকিবুলের বড় ভাই মোঃ আব্দুল মাতুব্বর নিকাহ রেজিষ্টার কাজী কামরুলের নিকট যায় ঐ বিয়ের সার্টিফাইকপি (নকল) আনতে। কিন্তু তিনিতা দেবেন না বলে জানান। পরে তাকে শর্ত দেওয়াহয় ৫ হাজার টাকা ও ব্লাঙ্ক (ফাকা) ষ্টাম্পে টিপ সহি দিতে হবে। এবং তাকে বোঝানো হয় যে আপনি এটা (নকল) বুঝিয়ে পাইবেন তাহার প্রমান আমি রাখলাম। বড়ভাই আব্দুল মাতুব্বর সহজ সরল বলে কোন কিছু না বুঝেই সাদা ষ্টাম্পে টিপসহি দিয়ে দেয়। এবংতাকেনিকাহ নামার নকলকপি দেয়। তাতে দেখাযায় দেনমোহরে ২ লক্ষ টাকার স্থালে ৫ লক্ষ করা হয়েছে।
পরে বাড়িতে এসে বলাবলি করলে প্রতিবেশিরা তাকে বলে যে বিয়ের নকল আনতে সাদা ষ্টাম্পে টিপসহি দিতে হয়না, সে এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে করেছে। পরে তিনি (আব্দুল মাতুব্বর) বুঝতে পেরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই দেশের বাহিরে থাকায় অভিভাবক হিসাবে কাজী মাওলানা কামরুল হোসেনের কাছে যাই বিবাহের নকল আনতে। তিনি আমাকে সাদা ষ্টাম্পে টিপসহি ও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কাবিনের নকল দিবে বলে জানায়। পরে আমি কোন কিছু বুঝতে না পেরে ১ হাজার টাকা ও সাদা স্টাম্পে টিপসহির বিনিময়ে নকল পাই।

এখন আমি শঙ্কিত যে ঐসাদা স্টাম্পের টিপসহি দিয়ে আমাকে হয়রানি করে কিনা। এদিকে কাজী কামরুলের বিরুদ্ধে এছাড়াও অনেক অভিযোগও রয়েছে। রেজিস্টার বহিতে বিবাহের দেনমোহরের জায়গা ফাকা রেখে এভাবে উৎকোচ নিয়ে ছেলে পক্ষ অথবা মেয়েপক্ষকে সুবিধা দিয়ে থাকে। বাল্য বিয়ে, উৎকোচের বিনিময়ে গোপনে তালাক রেজিষ্টার সহ অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আজ শনিবার (১৩.০৭.২০১৯) সকাল ৯ টায় হঠাৎ তার বাড়িতে গিয়ে নিকাহ রেজিস্টারের চলমান বই টি দেখতে চাওয়া হলে তিনি তা দেখাবেন না বলে জানান। অনেক অনুরোধের পরে তিনি নিকাহ রেজিস্টার বই সাংবাদিদের কাছে দেন।
তাতে দেখাযায়, চলমান রেজিস্টার বইতে ৫০ টি নিকাহ রেজিস্টী করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোন নিকাহ নামায় ফিস লেখা হয়নি। আর কয়েকটিতে শুধু বর ও কনের সাক্ষর নেওয়া হয়েছে আর কিছুই লেখা হয়নি। তাছাড়াও এলাকায় চাউর রয়েছে সামন্য কাজী মওলানা হয়ে তিনি নিজস্ব প্রাইভেট কার গাড়ী নিয়ে চলাফেরা করেন ধম্ভের সাথে। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা মেট্রো গ-১১৪৬৭০ নাম্বার প্লেটের প্রাইভেট কারটি তার বাস ভবনের সাননেই রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি নিকাহ রেজিস্টী ছাড়া অন্য কিছু করেন না।
তাহলে কি করে এত ইনকাম আসে তার, হয়তো সপ্তাহে একটি বা দুটি বিাবহ রেজিস্টী হয়। তাতে তার যে খরচ সে হিসাবে কি করে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে চলাফেরা করে।এ ব্যাপারে নিকাহ রেজিস্টার কাজী কামরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাদা কাগজে টিপসহি নিয়েছি তাতে আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিলোনা। আমি সময় সুযোগ বুঝে অঙ্গিকার নামা লিখে নিতাম। সে কাবিনের নকল বুঝিয়ে পাইছে। আর বিয়ের নকল নিতে টাকা লাগে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক পেছনের বইখাতা খুজতে হয় সে জন্য কিছু খরচ লাগে। এব্যাপারে ফরিদপুর জেলার সাবেক নিকাহ রেজিস্টার মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, নিকাহ রেজিস্টারের নকল নিতে কোন টাকা লাগেনা। এবংবিবাহের সময় উভয় পক্ষকে নকল কপি দেওয়ার কথা। মাঝারদিয়ার কাজী সাহেব যেটা করেছেন তা অনিয়ম।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com