news | logo

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৪ ইং



ধোপাডাঙ্গায় যশোদা জীবন দেবনাথের আয়োজন ২৫০টি প্রতিমা নিয়ে এবারের দুর্গাপূজা

প্রকাশিত : অক্টোবর ০২, ২০১৯, ১৩:৫৯

ধোপাডাঙ্গায় যশোদা জীবন দেবনাথের আয়োজন ২৫০টি প্রতিমা নিয়ে এবারের দুর্গাপূজা

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ

ফরিদপুর শহরে থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা নামের একটি গ্রাম। গাছ গাছালি ঘেরা নিভৃত এই গ্রামে ৫২ খন্ডে ২৫০টি প্রতিমা নিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে সিআইপি যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়িতে।

এবছর ফরিদপুর জেলায় ৭৬৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হলেও ধোপাডাঙ্গা চাঁদপুর গ্রামের এই পূজার আয়োজন একটু ব্যাতিক্রমধর্মী।

এখানে সত্য, দ্বাপর, ত্রেতা ও কলি পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে এই চার যুগে ধারাধামে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে ভগবানের অংশ হিসেবে যে চারজন অবতার আবিভূর্ত হয়েছেন, সেই চার অবতার শ্রীহরি, রামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রী গৌরাঙ্গের বিভিন্ন কর্মকান্ড বিভিন্ন মহা কাব্যের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে ৫২টি খন্ডের মাধ্যমে।

এর মধ্যে সত্যযুগে শ্রীহরির নিদ্রা, ত্রেতা যুবে রামচন্দ্রের বিবাহ, বনবাস, সীতা হরণ, দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের কংসের কারাগারে জন্ম, জন্মের পর নন্দালয়ে গমন, নৌকা বিলাস এবং কলিযুগে জগাই-মাধাইর শিয্য হওয়া, নগর কীর্তন প্রভৃতি কাহিনী নিয়ে এই ৫২ খন্ড তৈরি করা হয়েছে যাতে রয়েছে সর্বমোট ২৫০টি প্রতিমা।

এ প্রতিমাগুলির নির্মান করছেন মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার খাদুনা গ্রামের মৃৎ শিল্পী প্রলয় বিশ্বাস ওরফে হৃদয় (৩০)।
গত ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে (৭ জুন) তিন লাখ টাকা চুক্তিতে তিনি এ নির্মাণ কাজ শুরু করেন প্রলয় বিশ্বাস। তাঁর সাথে শিশির বিশ্বাস ও চয়ন বিশ্বাস নামে আরও দুই সহযোগী রয়েছে।

প্রলয় বিশ্বাস জানান, তিনি একজন মৃৎ শিল্পী তবে পাল পারিবারে তাঁর জন্ম হয়নি। তিনি খুলনা চারু ও কারু কলা কলেজ থেকে মৃৎ শিল্প বিষয়ে পড়াশুনা করে শিল্পী হয়েছেন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে চার অবতারের কর্মকান্ড নিয়ে ৫২ খন্ডের এ আয়োজনের চিন্তা প্রলয় বিশ্বাসের মাথায় কিভাবে এলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ পড়াশুনা করে না, অতীত জানে না। নানা ধরণের অন্যায় কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। ওই তরুণদের অতীত স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই এ আয়োজন তিনি করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর ধারনা ও বিশ্বাস এসব দেখে আজকের বিভ্রান্ত তরুণসমাজ সঠিক পথে ফিরে আসার প্রণোদনা পাবে।

যশোদা জীবন দেবনাথ জানান, দেবী দুর্গাসহ আড়াইশ প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম বড় পরিসরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি এই পূজা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসবে।

সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসবকে ঘিরে ফরিদপুরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বছর ফরিদপুরে ৭৬৫টি মন্ডপ/মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দেবী দুর্গার বোধন শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মহা ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা যা শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দশমীতে দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা শেষ করতে সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। মন্দির গুলোতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসারসহ মোবাইল টিম কাজ করবে। নিরাপত্তা দিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে পূজা মন্ডপ গুলোতে।

 




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com