news | logo

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৪ ইং



চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা

প্রকাশিত : আগস্ট ০২, ২০১৯, ০২:৫৯

চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) সংবাদদাতাঃ
নানা সমস্যায় জর্জরিত ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার সংকট যেমন প্রকট তেমনি নেই কোনো উন্নতমানের এক্সরে মেশিন, পুরানো আমলের এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে গেছে । একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি অনেক পুরাতন হওয়ায় মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে পড়ে থাকে। ফলে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার জন্য মাত্র ২ জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছেন। এদিকে ৫০ শয্যা হাসপাতাল বলা হলেও এখনও সুযোগ-সুবিধা পূর্বের ৩১ শয্যা হাসপাতালের মতোই রয়ে গেছে। এতে হাসপাতালের চিসিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। তারপরেও কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। দিনে আউটডোরে কয়েক শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
যেখানে ডাক্তার থাকার কথা ৯ জন, কাগজ কলমে আছে ৫ জন, বাস্তবে কর্মরত আছে ২ জন, বাকি ৩ জন, প্রেষনে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জন, ফরিদপুর সদর হাসপাতালে আছেন, গাজীপুর মেডিকেল কলেজে ১জন, কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ১ জন, প্রেষনে রয়েছে। গত মাসে ১ জন, ডেন্টাল সার্জন ছিল বদলী নিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন। প্রতিদিনই দন্ত রুগি ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে। হাসপাতালে আয়া ৩ জনের পরিবর্তে ১ জন রয়েছে, ওয়ার্ড বয় ৩ জনের জায়গায় ১ জন, পরিচ্ছন্নকর্মীর ৫ টি পদে থাকার কথা থাকলেও কাগজ কলমে ৩ জন, রয়েছে ১ জন, বাকি ২ জন প্রেষনে রয়েছে। হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ল্যাব সেটা বন্ধ রয়েছে বিগত ৩ টি বছর। পুরানো আমলের এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় এতে করে বেশ কছু প্রাইভেট ক্লিনিক প্যাথলজিক্যাল টেষ্টের নামে অসহায় জনগণের পকেট কাটছে। অথচ বিষয়গুলো নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো মাথাব্যথা নেই।


ফার্মাসিস্ট না থাকায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ঔষধ ঠিকমতো পাচ্ছে না সাধারন জনগন।
পরিসংখ্যানের যায়গায় পরিসংখ্যানবীদ নেই, উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে জোড়াতালি দিয়ে সেবা প্রদান করা হয় রোগীদের ৫০ শয্যার খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। কিন্তু জনবলের কোন প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায় নাই। বাকী ৩১ শয্যার স্বল্প সংখ্যক জনবল দ্বারা হাসপাতলা পরিচালতি হচ্ছে।
বর্হির্বিভাগে কথা হয় ডাঃ সৈয়দ তোহাদ্দেছুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে। তিনি বলেন চিকিৎসকসংকট, তাই ১০০-১৫০ রোগী একজন করে দেখতে হয়। দীর্ঘ সময় রোগীদের অপেক্ষা করতে হয়, পাশাপাশি এত রোগীকে ভালোভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়াও কঠিন।
উপজেলায় একমাত্র উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি লোকবল না থাকায় বন্ধ রয়েছে দির্ঘদিন। কমিনিউটি ক্লিনিকের কর্মরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান( জাহিদ), বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ডাক্তার পদায়নের চেষ্টা করবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. নাজমুল হাসান সমকাল কে বলেন আমি এই হাসপাতাল থেকে সদ্য পদোন্নতি পেয়ে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছি, তবে আমার জানামতে আমার পূর্বে যাহারা ছিলেন তাহারা মন্ত্রণালয়ে ডাক্তার, জনবল, মেশিনারিজ চেয়ে একাধিক বার চিঠি দিয়েছে, সিভিল সার্জন স্যার বলেছে আগামী মাসে ডাক্তার পদায়ন করবেন। তবে আশা করি স্বল্পসময়ের মধ্যে ডাক্তার সংকটের সমাধান হবে।
ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মহ: এনামুল হকের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি সমকালকে বলেন ‘ ফরিদপুরে প্রতিটি উপজেলায় ডাক্তার, জনবল সংকট রয়েছে, আগামী মাসে ডাক্তার পদায়ন করবেন বলে আশা করছি, প্রেষনের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা, আমার যোগদানের পূর্বে তাহারা প্রেষনে চলেগেছে।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com