news | logo

৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



চরভদ্রাসনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূয়া নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

প্রকাশিত : জুন ২২, ২০১৯, ১২:০৯

চরভদ্রাসনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূয়া নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে গবাদী পশু,ছাগল ও হাঁস মুরগী পালন বাবদ মে ২০১৯ এ ১২ জন উপকার ভোগীকে ঋন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ টাকা ভূয়া উপকার ভোগী দেখিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী নিয়েছেন এ মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, স্বল্প সুদে গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষে চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের এমকে ডাঙ্গী গ্রামের সাজেদা,হেলেনা আক্তার,ফারহানা,চরভদ্রাসন বাজারের সেলিনা আক্তার, মধু শিকদারের ডাঙ্গী রুমা বেগম,তমেজখার ডাঙ্গীর হাফেজা বেগম,কে এম ডাঙ্গীর কোহিনুর বেগম,টিলার চর গ্রামের বিলকিস,গাজীরটেক ইউনিয়নের মুন্নি আক্তার হরিরামপুর ইউনিয়নের নাসিমা,হাসি আক্তার এছাড়া দাড়াজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের আনুরা বেগম প্রত্যেকের নামে ১৫ হাজার করে মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ঋন দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তা মিথ্যা উপকারভোগী মধ্যে ১০ জন টাকা না দিয়ে নিজেই আত্নসাৎ করেছেন। এর মধ্যে এমকে ডাঙ্গী গ্রামের সাজেদাকে তিনি দুই নামের ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
সরেজমিনে সদর ইউনিয়নের সেলিনার স্বামী খলিল মন্ডল,রুমা বেগম,বিলকিস,কোহিনুর সকলের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঋনের আবেদন তো দূরের কথা এ ব্যপারে তারা কিছুই জানে না। এ ছাড়া হাফেজা ,আনুরা ও ফারহানার ঠিকানা গড়মিল থাকায় সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তবে সদর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মনিরা সুলতানা সাজেদা ঋন নিয়েছেন বলে জানান এ ব্যপারে তিনি বলেন“১৫ হাজার টাকায় বছরে মাত্র ৭৫০ টাকা সুদ দিতে হয়। আমার অন্য জায়গায় বেশী সুদে ঋন নেওয়া ছিল। তাই আমার ভাগনি হেলেনার নামে ১৫ হাজার ও আমার নামে ১৫ হাজার মোট ৩০ হাজার টাকা তুলে ঐ পাওনাদারকে দিয়েছি।”

সরকারি টাকা আত্নসাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের চরভ্রদ্রাসনের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী কাছে জানতে চাইলে বলেন, আপনাদের তথ্য সঠিক না। আমার কাছে তালিকা আছে। তখন উপস্থিত সাংবাদিকগন তালিকাটি দেখতে চাইলে তিনি বলেন তালিকা দেখতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তবে তিনি টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন সাজেদাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি বাকী টাকা তুলে আমি ঈদের পরের সপ্তাহে অন্য এক একাউন্টে জমা রেখেছি। এক জনকে ১৫ হাজারের বেশী দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে এবং জমা দানের রশিদ দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলেন আমি আপানাদের কোন তথ্য দিব না।

বিষয়টি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা খোজ নিয়ে খতিয়ে দেখছি। দোষী হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন বিষয়টি আমি মাত্রই জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com