news | logo

৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



খুঁটি সরাতে চাঁদা দাবি করল বিদ্যুৎ অফিস, ফলে মাঝখানে খুঁটি রেখেই সড়ক পাকা

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ১৭:১৮

খুঁটি সরাতে চাঁদা দাবি করল বিদ্যুৎ অফিস, ফলে মাঝখানে খুঁটি রেখেই সড়ক পাকা

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহনপুর গ্রামের আঞ্চলিক সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক পাকা করা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানের বৈদ্যুতিক খুঁটি।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য সম্প্রতি সড়কটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। সড়কটির মাধ্যমে সয়দাবাদ মহাসড়ক ও সিরাজগঞ্জ সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। কিন্তু যান চলাচলের জন্য নির্মিত সড়কটির মাঝখানে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম রেজা বলেন, সড়কটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলে যানবাহন চলবে কিভাবে। সড়কের মাঝখানে থাকা দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত অপসারণ করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সড়কটি নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে। সয়দাবাদ শিল্পপার্ক অফিসের সামনে থেকে পূর্বমোহনপুর ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রায় ২০০ ফুট বাকি রেখেই কাজ শেষ করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সয়দাবাদ শিল্পপার্ক অফিস-পূর্ব মোহনপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটির প্রস্থ ৮ ফুট। আরসিসি ঢালাই করা সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয় এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এটি একসময় শুধু হাঁটার সড়ক ছিল। আগের চেয়ে অনেক প্রশস্ত করার কারণে মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়েছে। তবে সড়কটির দৈর্ঘ্য যা ধরা হয়েছে তার চেয়ে ৫ মিটার বেশি করা হয়েছে।

 

এ কাজের ঠিকাদার মোনায়েম শেখ বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও বেলাল হোসেন খুঁটি অপসারণের জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি টাকা দাবি করার কারণে খুঁটি অপসারণ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে খুঁটি মাঝখানে রেখেই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুজ্জোহা বলেন, সড়কটির নির্মাণকাজ চলাকালে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হলেও খুঁটির অপসারণ করা হয়নি। তবে গত সপ্তাহে তারা এসে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে খুঁটি অপসারণের কথা বলেছেন।

 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মহা-ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি মাঝখানে রেখে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি আমরা পরে জেনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। এজন্য খুঁটি অপসারণ হয়নি। খুঁটি মাঝখানে রেখেই তারা সড়কটি নির্মাণ করেছে। এখন আর ওই খুঁটি মাটি খুঁড়ে তোলা সম্ভব নয়। তবে ওটাকে কেটে ওখান থেকে অপসারণ করতে হবে।

 

 




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com