news | logo

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং



এইচএসসির ফল: পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধিও জরুরি

প্রকাশিত : জুলাই ২০, ২০১৯, ১৫:৪৭

এইচএসসির ফল: পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধিও জরুরি

গতকাল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, এ বছর ১০ শিক্ষা বোর্ডে সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন।

এদের মধ্যে পাস করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পর সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের ব্যাপারে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, এবার নির্ধারিত সময়সীমার কয়েকদিন আগেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানাতে হয়। গতবারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় পাসের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে শিক্ষার মান আমরা কতটা বাড়াতে পেরেছি, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। মনে রাখতে হবে, পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়েও বেশি জরুরি হল শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা।

এজন্য বাস্তব অগ্রগতির নিরীক্ষা হওয়া দরকার বলে মনে করি আমরা। একইসঙ্গে দেশের ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী কেন উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হল, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।

আজকাল পাসের হার বৃদ্ধির পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করে বলে শোনা যায়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতি নাকি সেরকম নির্দেশনাও থাকে। এভাবে পরীক্ষায় পাসের হার বাড়িয়ে সাময়িকভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করা হয়তো সম্ভব; কিন্তু এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ে না।

বর্তমানে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা অনেকটা কমেছে; একইসঙ্গে আরও একটি স্বস্তিদায়ক বিষয় হল- প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো অভিযোগ এবার শোনা যায়নি।

তবে এখনও দেশে নোট-গাইডবইয়ের দৌরাত্ম্য ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। বলাই বাহুল্য, শিক্ষার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগুলো নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

শিক্ষার্থীদের জীবনে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ স্তর অতিক্রম করে তবেই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার বৃহত্তর জগতে প্রবেশের সুযোগ পায়, যা ভবিষ্যৎ জীবন গঠন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।

মূলত শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় হল ভিত মজবুত করার উপযুক্ত সময়। যারা এ সময়টাকে কাজে লাগায়, স্বভাবতই তারা পরীক্ষায় ভালো ফল করে।

অবশ্য ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকমণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সবার যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

দুশ্চিন্তার বিষয় হল, দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার বাড়লেও বাড়ছে না মানসম্পন্ন ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদান জরুরি।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর যারা দুর্ভাগ্যবশত পাস করতে পারেনি, তারা যেন হতাশ না হয়। আগামীবার তারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে, এটাই প্রত্যাশা।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com