news | logo

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা মে, ২০২৪ ইং



ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’

প্রকাশিত : মার্চ ৩১, ২০১৯, ০৫:১৬

ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’

মুসলিম রচিত পূর্ণাঙ্গ ও প্রথম ইসলামী সৌর ক্যলেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’। এর আগে প্রবর্তিত সকল ক্যালেন্ডার ছিল লুনি-সোলার সমন্বিত ক্যালেন্ডার। মুসলিম প্রবর্তিত সর্বপ্রথম ও একমাত্র সোলার বা সৌর ক্যালেন্ডারের শামসী সন গণনা শুরু হয়েছে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বছর এবং যে মাসে আল্লাহ পাকের সাথে দীদারে মিলিত হন সেই বছর ও সেই মাসের পহেলা তারিখ অর্থাৎ পহেলা রবিউল আউয়াল থেকে। তাই ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ অনুসরণ করা সকল মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি বাংলদেশ সরকারসহ মুসলিম বিশ্বের উচিত সারা মুসলিম বিশ্বে এই ক্যালেন্ডারের প্রচলন করা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বপ্রথম ইসলামী সৌর ক্যলেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ ও মহাকাশ গবেষক এবিএম রুহুল হাসান। এছাড়া ইসলামের আলোকে সৌর বা শামসী সনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন ‘তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চাঁদকে করেছেন আলোকময় আর তার (হ্রাস বৃদ্ধির) মানযিলসমূহ সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন, যাতে তোমরা বৎসর গুণে (সময়ের) হিসাব রাখতে পার। আল্লাহ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি, তিনি নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য।’ (সূরা ইউনুস শরীফ, আয়াত শরীফ ৫)। এ থেকে বোঝা যায়, মুসলমানদের চাঁদের ক্যালেন্ডারের (হিজরি ক্যালেন্ডার) পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সূর্য ভিত্তিক রচিত সৌরসাল।

বর্তমানে ইরান ও আফগানিস্থানে লুনি-সোলার (চাঁদ ও সূর্যের সমন্বয়ে) ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হলেও মুসলমানদের রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌরসাল কোন মুসলমান দেশেই প্রচলিত নেই। তাই ঈসায়ী ক্যালেন্ডার যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে নতুন সৌরসাল ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ বাংলাদেশ সহ সারা মুসলিম বিশ্বে প্রচলন খুবই জরুরী।

বক্তারা বলেন, এই শামসী সন শুরু হয়েছে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যে বছর এবং যে মাসে আল্লাহ পাকের সান্নিধ্যে চলে গেলেন, সেই বছর ও সেই মাসের পহেলা তারিখ থেকে। অর্থাৎ ১১ হিজরি সনের পবিত্র রবীউল আউয়াল মাসের পহেলা তারিখ থেকে। তাহলে এই শামসী সন অনুসরণের মধ্যে দিয়ে মুসলমানগণ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে স্মরণ করবেন।

সেমিনারে আলোচকবৃন্দ বলেন, মহান আল্লাহ পাক বলেন ‘তোমরা কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করোনা’। আর প্রত্যেক জাতি তার নিজস্ব স্বকীয়তা ধারণ করার চেস্টা করা উচিত। সেই হিসেবে মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এই শামসী সন রচনা করেছেন ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের সম্মানিত পীর সাহেব উনার সুযোগ্য সন্তান আওলাদে রসূল হযরত খলিফাতুল উমাম আল মানসুর আলাইহিস সালাম। সেমিনারে বক্তাগণ, সরকারীভাবে বাংলাদেশে এবং সারা মুসলিম বিশ্বে এই শামসী ক্যালেন্ডারের প্রচলন ও প্রচারের আহবান জানান।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com