news | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং



আকোটেরচর এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটির নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা

প্রকাশিত : জুলাই ২৭, ২০১৯, ১২:৩১

আকোটেরচর এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটির নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা

আগামীর প্রত্যাশা ডেক্সঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানে কালক্ষেপণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইতিমধ্যে ওই নির্বাচনের ভোটার তালিকা চুড়ান্ত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জমা দেয়া হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য মনোনীত হলেও এডহক কমিটির প্রধান আগামী নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করার লক্ষ্যে কালক্ষেপণ করছেন। আগামী মাসে ( আগষ্ট) ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য হবে। ওই পদে নিজস্ব লোককে বসানোরও পায়তারা চালানো হচ্ছে। এসব কারণে স্কুলের পাঠ দানের মান ক্ষুণœ হচ্ছে।

জানা গেছে, আকোটেরচর এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর গত ৩০ মে আবদুল ওয়াহাব মিয়াকে প্রধান করে ৬ মাস মেয়াদী একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে দ্রুততার সাথে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ওই তালিকা যাচাই বাছাই করে গত ৪ জুলাই চুড়ান্ত করা হয়। এরপর ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম মোল্যা সেই তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে জমা দিতে গেলে আবদুল ওয়াহাব মিয়া তাকে সেটি জমা দিতে নিষেধ করেন।

একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এডহক কমিটির প্রধান হলেও আবদুল ওয়াহাব মিয়া নিজেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবেই পরিচয় দেন। তিনি ওই পদে থেকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সাধারণ ভোটারদের মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করতে চাইছেন। বিদ্যালয়ের চলতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য হলে সেখানে তিনি নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বসানোর পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া স্কুলের উন্নয়ন কাজেও তিনি নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম মোল্যা এই প্রতিবেদককে বলেন, ৪ জুলাই চুড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুমোদনের পর আমি সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে গেলে আমাকে মোবাইলে এডহক কমিটির প্রধান আবদুল ওয়াহাব মিয়া ওই তালিকা জমা না দিয়েই ফিরে আসতে বলেন।
এব্যাপারে আবদুল ওয়াহাব মিয়া এই প্রতিবেদকের নিকট এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা হলেই যে সেটি জমা দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। এখনও সময় আছে। ভোটার তালিকায় এমন অনেকে রয়েছেন যারা নাম স্বাক্ষরও করতে পারেন না। আমরা তাদেরকে সচেতন করার কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে তিনি নিজে থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন না বলেও জানান। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য হলে নিয়ম অনুযায়ীই সেই পদ পুরণ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ওই পদে নিযুক্ত হবেন। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, তার হার্টে তিনটি রিং বসানো। তার পক্ষে এখন ওই দ্বায়িত্ব পালন সম্ভব না।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন বলেন, স্কুলের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে বলে শুনেছি। ম্যানুয়ালে যেভাবে আছে সেভাবেই কাজ সম্পন্ন করতে বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার বলেন, এখনওতো সময় রয়েছে। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনমাস আগে এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার কথা। যদি সেটি না হয় তবে তখন দেখা যাবে।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com