news | logo

২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই মে, ২০২৪ ইং



চাঁদের প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করেই পবিত্র লাইলাতুল বরাতের তারিখ ঘোষণায় ভুল সিদ্ধান্তেই থাকলো ইফা

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০২:২৩

চাঁদের প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করেই পবিত্র লাইলাতুল বরাতের তারিখ ঘোষণায় ভুল সিদ্ধান্তেই থাকলো ইফা

পবিত্র শা’বান শরীফ মাসের চাঁদ দেখার বিষয়ে ও পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার তারিখ ঘোষণার বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মিথ্যা ও ভুল সিদ্ধান্তে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। ইফা ও ধর্ম মন্ত্রণালায়কে চাঁদ দেখার বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীদের পক্ষ থেকে সরাসরি জানানো হলেও তারা তাদের ভুল ঘোষণার উপরই অটল থাকলো। যা জনগণের কাছে ‘গোমরাহী’ ও ‘গোয়ার্তুমি’ হিসেবে চিহিœত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি মাজলিসু রুইয়াতে হিলাল-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বারবার ইফা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি চাঁদের ২০ জনেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীদেরকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে ইফা’র মিটিংয়ে উপস্থিত করানোর পরও তাদের স্বাক্ষী নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি মাজলিসু রুইয়াতে হিলাল-এর গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রতিবাদ সমূহ দেশের প্রায় সকল মিডিয়াতেই প্রকাশ পেয়েছে। আর এতেই ইফা’র চাঁদ দেখা নিয়ে কারচুপি ও ভুল ঘোষণার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইফা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়কে তাদের ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সকলেই দাবি জানাচ্ছেন এবং দায়িত্বে অবহেলা ও গাফলতির বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে মন্তব্য করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা সরাসরি ইফা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু তারা একেকজন একেক ধরণের কথা বললেও প্রচারিত ও ঘোষণাকৃত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে রাজি হচ্ছেন না।
জাকারিয়া নামের একজন লিখেছেন, ইফার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আপনারা আপনাদের মত করে শবে বরাত পালন করেন।
মুহম্মদ ইসহাক পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, ‘চাঁদ দেখার সাথে মুসলমানদের বিশেষ দিবসসমূহ পালনের বিষয়টি জড়িত। এটা নিয়ে ইফার স্বেচ্ছাচারিতা দেশের জনগনের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
আরিক হাসান নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ভুল হতেই পারে। কিন্তু জানানোর পরও ভুল সংশোধন না করা একটি অন্যায়। উপরন্তু এটি ইসলামের সাথে জড়িত।
শাহজাহান সিরাজ নামের একজন লিখেছেন, ইফার ভুল তারিখ জনগন প্রত্যাখ্যান করে ২০ এপ্রিলই পবিত্র শবে বরাত দেশবাসী পালন করবে।
আবু সুফিয়ান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ইফার ভুল তারিখ ঘোষণার কারণে পরপর ৪ টি চন্দ্রমাস কখনোই ত্রিশদিন কিংবা উনত্রিশদিন হতে পারেনা। এটা বৈজ্ঞানিকভাবেও অসম্ভব।
হাবীবুন্নবী সোহেল নামের এক প্রবাসী লিখেছেন, এই ভুল ঘোষণার ফলে ইফার অকার্যকারিতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি ইসলামের বিষয়গুলো নিয়ে ছয় নয় করার কারণে কুফরীও হয়েছে। ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার না করলে ভবিষ্যতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন সিদ্ধান্তই মানুষ বিশ্বাস করবেনা।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com