news | logo

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং



“বিশ্বের অধিকাংশ সমস্যার প্রধান কারণ কোরআনকে ফলো না করা”

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৭, ২০১৯, ০৬:৪৬

“বিশ্বের অধিকাংশ সমস্যার প্রধান কারণ কোরআনকে ফলো না করা”

বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব তথা গোটা মানবসমাজের অধিকাংশ সমস্যা ও সংকটের কারণ হচ্ছে পবিত্র কোরআনকে অনুসরণ না করা। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা

-আয়াতুল্লাহ উজমা খামেনি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হাফেজ ও ক্বারিদের এক সমাবেশে সোমবার এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন পৃথিবীতে সম্মান-মর্যাদা, কল্যাণ, উন্নয়ন, শক্তি-সামর্থ্য, সংহতি ও সুন্দর জীবন ব্যবস্থা এবং পরকালের সুখ-শান্তির ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী হিসেবে কাজ করে।

কিন্তু বর্তমানে কোনো কোনো মুসলিম দেশের শীর্ষ নেতা সিরিয়া ও ইয়েমেন যুদ্ধের মতো সংঘাত এবং মুসলমান হত্যার ক্ষেত্র তৈরির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, বলেছেন ইরানের এই নেতা।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কয়েকটি মুসলিম দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দালালি করছে। সুত্র: পার্সটুডে

আরো পড়ুন: ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম, এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে: মমতা

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম ধাপে বেশ কিছু জায়গাতে ভোট নেয়া হয়ে গেলেও এখনো বাকি রয়েছে আরো ছয়টি ধাপ। ফলে তুমুল বেগে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। এদিক থেকে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলও।

আজ বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের হয়ে আজ মঙ্গলবার ইটাহার ও বুনিয়াদপুরে সভা করেন মমতা।

ইটাহারের জনসভায় মমতা যেমন তৃণমূল সরকারের কাজের খতিয়ান ও উন্নয়ন তুলে ধরেছেন, তেমনি বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে গেলে দিল্লির সরকার বদলে দিন৷

আজ মঙ্গলবার ইটাহারে এমনই এক নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ইসলাম ধর্ম পবিত্র ধর্ম, এটা মাথায় রাখতে হবে। ধর্ম নিয়ে কোনো ধরনের ভাগাভাগি চলবে না।

তৃণমূলকে ভোট দিন। কারণ বিজেপি বলছে, তারা বাংলাতেও নাগরিকত্ব বিল করবে। এটা কী জানেন? পাঁচ বছরের জন্য আপনাকে বিদেশী করে দেবে৷ তারপর কী গ্যারান্টি আছে যে আপনি নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন।

তারা দাবি করছে, এনআরসি করবে। আমি তাদেরকে বলছি আগে এন টা ছুঁয়ে দেখ, তারপর আরসি করবে। বাংলার ব্যাপারে তিনি বলেন, নিজের জীবন বাজি রাখতে রাজি, কিন্তু ভাগাভাগি চলবে না।

কারণ বাংলার সংস্কৃতি এটা নয়। মুসলমানদের ব্যাপারে তিনি স্পষ্টভাষায় বলেন, ইসলাম ধর্ম পবিত্র ধর্ম এটা মাথায় রাখতে হবে। ধর্মের নামে কোনো ভাগাভাগি চলবে না। হিন্দু, ইসলাম, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ধর্ম থাকবে, তবেই তো দেশ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘ওদের এত সাহস যে নিজেদের মতো আইন করে বলবে কে কোথায় থাকবে, কে কোথায় থাকবে না? এত সাহস ওদের, ভাবছে যে শুধু ওরা থাকবে, আর বাকিদের বার করে দেবে! এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’

বিজেপি দলিত, কৃষকসহ সবার ওপর অত্যাচার করছে উল্লেখ করে মমমতা বলেন, এই সরকারের আর প্রয়োজন নেই। ২০১৯ সালেই ফিনিশ হবে বিজেপি ফিনিশ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে দেশপ্রিয় পার্কে দেয়া এক ভাষণে তিনি সরাসরি বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারের নাম উচ্চারণ না করে বলেন, একশ্রেণির মানুষ নিজের মতো করে অমানবিক,

দানবিক ও পাশবিক ধর্ম তৈরি করে দেশের ইতিহাস বদলে দিতে চাইছে। অবশ্য দু’দিন আগেই তিনি বিজেপি, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অশান্তির আগুন জ্বালছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।

এ বার বাংলার মানুষকে এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কাশ্মীরি শালওয়ালা রোজ এসে শাল দিয়ে যান, হঠাৎ তাকে দরজা থেকে বার করে দেব? যে চিকিৎসক ২০ বছর ধরে এখানে চিকিৎসা করছেন, হঠাৎ করে তার উপর হামলা হবে কেন? কারা এত লাটসাহেব?’

পুলওয়ামার ওই হামলার পর পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্তে যেভাবে ‘দেশপ্রেমের নামে’ মানুষকে হুমকি দেয়া, মারধর ও গোলমালের ঘটনা ঘটছে, তা কড়া হাতে মোকাবিলায় প্রশাসনকে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘এ রাজ্যের শিক্ষা, সংস্কৃতি বাঁচাতে সকলকে দৃঢ়চেতা হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘চাই ভারত এক থাকুক। ভারত মাথা তুলে দাঁড়াক। ভারত উগ্রপন্থার দেশ হতে পারে না।

ভারত চিরকালই তেজস্বী। সব ধর্ম, ভাষার মানুষকে আপন করে নিতে হবে। সকলকে ভালবাসতে হবে। যারা এখানে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, ওদের মেনে নিতে পারি না।’

তাই তারা প্রত্যাঘাত শুরু করেছেন। আমরা একে পূর্ণ সমর্থন করি। যারা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরাই আসল দেশদ্রোহী। তাদের ডান্ডা মারা উচিত।’

গত বৃহস্পতিবারই আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন কলকাতায় এসে বলেন, ‘পুলওয়ামার ঘটনার পর সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।

তার এ মন্তব্যকে সমর্থন করেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের মতোই সিপিএম ও কংগ্রেস এক সুরে এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে।

অন্যদিকে ভিএইচপি নেতা সুরেন্দ্র কটাক্ষ করে আরো বলেন, ‘সেনার উপর হামলাকারী কাশ্মিরি, রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীরাএ রাজ্যে আশ্রয় পাচ্ছেন। এটাই মমতার তোষণের রাজনীতি।’




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com