শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতায় সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠন সম্ভব। শুধু শিক্ষিত না হয়ে চরিত্রবান সুশিক্ষিত হওয়া জরুরি। নিজের ঘুমন্ত শক্তিকে জাগ্রত করে শিক্ষার্থীদের দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
শিক্ষাঙ্গনে যে অনিয়ম, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য চলছে তা রাতারাতি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সরকার প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ হবে। আমাদের পাঠক্রমে এমন বিষয় থাকতে হবে। আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া করে জ্ঞান অর্জন করবে। দেশ গড়ার জন্য কাজে লাগবে। তারা বিদেশমুখী হবে না। নিজেরা হবে উদ্যমী ও উদ্যোক্তা। সৎ ও পরিচ্ছন্ন পথে শ্রম আর মেধায় আয় করা শিখবে। তাহলে সমাজও সুন্দর থাকবে।
শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি চরিত্র গঠনের জন্যও দীক্ষা নিতে হবে। স্বভাব-চরিত্রে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য সিলেবাস তৈরি করতে হবে সরকারকে। মূল্যবোধসহ বিদ্যা আমাদেরকে জাগ্রত করবে।
টাকা-পয়সায় মানুষ হয় ধনবান। আর চরিত্র মানুষকে করে তোলে পরিপূর্ণ মানুষ। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা আরও মানসম্পন্ন হওয়া উচিত। বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে কম লেখাপড়ায় দ্রুত বেশি আয় করার মানসিকতা। দ্রুত শিল্প-কলকারখানার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখা, যা অত্যন্ত ভুল। শ্রম, মেধা আর অধ্যবসায় থাকলে, সুশিক্ষা অর্জন করলে আয়ের অনেক পথ বের হবে। শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত চরিত্রের অধিকারীও হতে হবে।
মানুষের প্রতি ভালোবাসার মূল্যবোধের জাগরণ সর্বাগ্রে থাকতে হবে শিক্ষকদের মাঝে। যদি শিক্ষকদের মধ্যে তা না থাকে, তবে তিনি যথোপযুক্ত শিক্ষক হতে পারেন না। সবার প্রতি সবিনয় নিবেদন, আমরা যেন জাতীয়ভাবে, সামাজিকভাবে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের শিক্ষকদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা দিতে সচেষ্ট থাকি। এতে শিক্ষকরা জ্ঞানদানে ব্রতী হবেন।
অন্যথায় শিক্ষার সত্যিকার যে আলো, তা থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। শিক্ষকদেরও পরিবার-পরিজন থাকে। তাদের জীবন-জীবিকার জন্য কিছু প্রয়োজন আছে। তাদের জ্ঞানদানের বিনিময়ে প্রয়োজন মিটিয়ে দিতে হবে। আমরা যদি শিক্ষকদের যথাযথ মান-সম্মান, সুযোগ-সুবিধা না দিই, তাহলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না।
দেশের শিক্ষা খাতে বাজেট অপ্রতুল। উন্নত বিশ্বের কোথাও এত কম বাজেট দেয়া হয় না এ খাতে। বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় থেকে তার রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন, শিক্ষিত জাতি গঠন জরুরি। শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক জাতি গঠন করতে পারলেই দেশের উন্নয়ন হবে।
চরিত্রবান মানুষকে সবাই বিশ্বাস করে। অসীম আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান মানুষ। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি সৎ চরিত্র অর্জনের দিকে মনোযোগী হতে হবে।
কেবল প্রয়োজন বা চাহিদার মধ্যে আবদ্ধ না থেকে জীবনের গভীরতর উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে হবে। জীবনে বড় হতে হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করতে হবে। কে কতখানি বড় হবে সেটা নির্ভর করে প্রয়োজনের তুলনায় কে কতখানি বেশি কাজ করে তার ওপর। সৃষ্টিকর্তা মানবকুলকে তার নিজের জন্য সৃষ্টি করেছেন; কিন্তু সমগ্র বিশ্ব জগৎকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য, এবং সৃষ্টিকে ভালোবাসাই মানবসৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। এই শক্তিকে জাগ্রত করার জন্য যেতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত
-
শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা...
-
নববর্ষের দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে...
-
চীনে আবারও করোনার থা’বা, নতুন করে আক্রা’ন্ত শতাধিক
: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘা’তী করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক...
-
মারা গেলে বিয়ের পোশাক পরিয়ে দিতে বললেন মিয়া খলিফা
: করোভাইরাসের সং’ক্রমণে টা’লমাটা’ল বিশ্ব। এর মধ্যে নিজের বিয়ের পোশাক নিয়ে...
-
দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
: মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে আরও ২০৯...
-
ঘাতক আব্দুল মাজেদ সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেলো
: বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদ ভারতের কলকাতায় দীর্ঘ...
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত
‘শুধু পায়ে জুতা, নগ্ন হয়ে বিমানবন্দরে হাজির নারী’
: তিনি কেবল জুতা পায়ে দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা......বিস্তারিত