news | logo

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং



‘তিনদিন কিছু খায়নি, এবার তো মনে হয় বাড়িতেই ম’রে পড়ে থাকব’

প্রকাশিত : এপ্রিল ১২, ২০২০, ১০:৫৩

‘তিনদিন কিছু খায়নি, এবার তো মনে হয় বাড়িতেই ম’রে পড়ে থাকব’

তিন দিন ধ’রে চন্দ্রাবতী দেবী মুখে একটা দানাও পাননি। শুধু তিনি নন তার পরিবারের আট জন তিন ধরে না খেয়ে রয়েছেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ঝাড়খণ্ডের গ্রামে গ্রামে এখন এটাই ছবি। এখন তাঁরা এটাও ভয় পাচ্ছেন এভাবে খেতে না পেয়ে থাকতে থাকতেই একদিন তাঁরা মারা যাবেন, কেউ খোঁজ নেওয়ার থাকবে না।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা বাইরে গিয়ে ভিক্ষা করতেও যেতে পারছি না। আমাদের বাচ্চাদের খাওয়াতে আমাদের যা জমানো ছিল শেষ হয়ে গেছে। কোরকোমা গ্রামের চন্দ্রাবতী দেবী দিন মজুরের কাজ করতেন। সামনের একটি ইঁটভাটাতেই কাজ করতেন তিনি। নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটে দেশ লকডাউনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই কাজ বন্ধ তাঁর মতো অনেকেরই। বাড়িতে আর কোনও খাবার নেই। সরকারের সাহায্যই এখনও এসে পৌঁছয়নি।

বাড়িতে তিন জনের রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও হয়নি সুরাহা। কখনও কখনও কোনও প্রতিবেশী সামাণ্য কিছু দিয়ে গেলে তাই তুলে দিচ্ছেন বাড়ির ছোটদের মুখে। ভারতের ঝাড়খণ্ডে এখনও অবধি করোনায় আক্রা’ন্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই মা’রণ রোগের সঙ্গে লড়া’ইয়ের সময় বহু পরিবার না খেয়ে ল’ড়াই করছেন।

এই পরিবারের থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে আরেক পরিবারে ইতিমধ্যেই মৃ’ত্যু হা’না দিয়েছে। ৬৫ বছরের সোমারিয়া দেবীর মৃ’ত্যু হয়েছে এর মধ্যেই। পরিবার জানাচ্ছে না খেতে পেয়েই বৃদ্ধার মৃ’ত্যু হয়েছে। গারওয়া জেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে সোমারিয়া দেবীর স্বামী এখনও বেঁচে আছেন। ৭২ বছরের এই বৃদ্ধের কোনও সন্তান নেই। কোনও রোজগার নেই, নেই কোনও সরকারি স্কিমে নামও।

কাছের একটি গ্রামে ভাইপো এতদিন এসে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খোঁ’জ নিয়ে যেতেন। খাবার দিয়ে যেতেন এখন তাও ব’ন্ধ। তবে সোমারিয়া দেবীর মৃত্যুর খবর পেয়ে যখন আত্মীয় বিনোদ নিজের বাড়ি থেকে এখানে আসেন, তখন প্রশাসনকে এই বৃদ্ধের অবস্থা জানান। তারপর মেলে ১০ কেজি চাল ও ৬ হাজার টাকা।




সম্পাদক ও প্রকাশক : মি. আহমেদ

অফিস লোকেশন:

১১০, গোয়ালবাড়ী, কাফরুল

মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬।

ফোন: ০১৯২২২৭৭৭৪৭ নিউজরুম: ০১৯২২২৭৭৭৩২

ই-মেইল: sales@bdwebs.com